সামশুল কিবরিয়া সুমন: চট্টগ্রামের চন্দনাইশে বরুমতি ব্রীজ সংলগ্ন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে চট্টগ্রাম অভিমুখী কাভার্ড ভ্যানের সাথে সিএনজি চালিত টেক্সির সংর্ঘষে সিএনজি টেক্সি যাত্রী প্রিয়ম জলদাশ নিহত হয়। কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় সিএনজি টেক্সিটি ধুমড়ে-মুছড়ে যায়। টেক্সি চালকসহ ৫ জন আহত হয়। আহতদেরকে বিজিসি ট্রাস্ট হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে ১ জনকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ১ জুলাই সকালে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে চন্দনাইশের বরুমতি ব্রীজ সংলগ্ন পক্কি মার্কা এলাকায় চট্টগ্রাম অভিমুখী কাভার্ড ভ্যান (বরিশাল-ট-১১-০১০৭)’র সহিত দোহাজারী অভিমুখী সিএনজি টেক্সি (চট্টগ্রাম-থ-১৩-০২৪৪)’র ধাক্কা লেগে ধুমড়ে-মুছড়ে যায় এবং পার্শ্ববর্তী পানি ভর্তি খাদে পড়ে যায়। এ সময় গাড়ির যাত্রী সাতকানিয়া ধর্মপুরের সুজিত জল দাশের ছেলে প্রিয়ম জলদাশ (২৮), রাউজান গুজরার দিপাল জলদাশের ছেলে তরুণ জলদাশ (২৫), সাতবাড়িয়া হাছনদন্ডীর মৃত প্রিয় লাল জলদাশের ছেলে বিকাশ জলদাশ (৪৫), কালা বাঁশি জলদাশের ছেলে সুজন জলদাশ (৩০), বাবুল জলদাশের ছেলে খোকন জলদাশ (২৫) ও সিএনজি টেক্সি চালক আহত হয়। আহতদেরকে বিজিসি ট্রাস্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রিয়ম জলদাশকে মৃত ঘোষণা করেন। তরুণ জলদাশকে আশংকাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। জানা যায়, হাছনদন্ডী এলাকার জেলেরা শোভনদন্ডী এলাকায় গতকাল রাতে মাছ ধরে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনার স্বীকার হয়। গুজরার তরুন জলদাশ ও সাতকানিয়ার প্রিয়ম জলদাশের শ্বশুর বাড়ি হাছনদন্ডী এলাকায় বলে জানা যায়। খবর পেয়ে দোহাজারী হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দুর্ঘটনায় কবলিত গাড়ি ২টি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ২টি গাড়ির চালক ও হেলপার পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছেন হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুর রউফ।